মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলায় ভুয়া বায়নাপত্র বানিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাশন পৌরসভার অফিস সহকারী ফখরুদ্দিন ভুট্টো, চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান বাবুল, একই এলাকার বাসিন্দা ও সোনালী ব্যাংক গজারিয়া শাখায় কর্মরত জহুরুল ইসলাম এবং চরফ্যাশন পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সার্ভেয়ার হযরত আলীর বিরুদ্ধে। আদালত উক্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা উপেক্ষা করে দখলকারীরা ভবন নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. কেফায়েত উল্লাহ নজিব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি চরফ্যাশন পৌরসভার কুলসুমবাগ মৌজার ১৮২ এস.এ খতিয়ান, ২৪০ ও ৯৭৪ হাল খতিয়ানের ৭৩৮৬, ৭৩৮৭,৭৩৮৮ নং দাগের ৭৭ শতাংশ জমি। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এই জমি দখলকারীরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বায়নাপত্র বানিয়ে দখল করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তাদের পরামর্শে আদালতে মামলা করি। আদালত গত ১১ মার্চ ২০২০ইং তারিখে উক্ত জমির উপর ১৪৫/১৪৪ ধারায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তা স্বতেও অবৈধ দখলকারীরা স্থানীয় প্রভাব ও একটি দলের প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখল অব্যাহত রাখে। এবং আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এর আগে চরফ্যাশন পৌরসভায় আমরা একটি অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু আমাদের অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পৌরসভার মেয়র ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে ২৭/০৪/২০১৬ইং তারিখে একটি নোটিশ প্রদান করে। ইহাতে আমার সামাজিক মর্যাদাহানি, জীবনের প্রতি হুমকি ও অপরাধীদের অনুপ্রাণিত করে বলে মনে করি। এ অবস্থায়ই পৌর ইঞ্জিনিয়ার ও মেয়র অবৈধ প্লান পাশসহ অন্যান্য কাজ অব্যাহত রাখে। এ অবস্থায় আমি বিগত ১৪/০৪/২০১৯ইং তারিখে ভোলা জেলার পুলিশ সুপারকে আবেদনের মাধ্যমে অবহিত করি। পুলিশ সুপার গোয়েন্দা শাখার মাধ্যমে তদন্ত করেন। তদন্তে দখলকারীরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯/০৬/২০১৯ইং তারিখে আমাকে মামলা করার উপদেশ দেন। পরে আমি বিষয়টি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে অবহিত করি। এর আলোকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার সুপারিশ করেন। যার আলোকে আমার ভাই মোঃ আশফাক উল্যাহ বাদী হয়ে গত ১০/০৩/২০২০ইং তারিখে চরফ্যাশন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। যার নং এমবি ৬৮/২০২০। আদালত
প্রবীণ এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বর্তমানে প্রাণনাশের ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। কারণ দখলকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আদালতের কোনো নির্দেশনা মানছে না।
এ অবস্থায় আমি চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে জানালেও তিনি কোনো সমাধান দিতে পারেনি। এ অবস্থায় আমি ভোলা জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা ও একটি দলের জেলার সভাপতি হওয়া স্বতেও আমার জমি অবৈধভাবে দখল ও আমকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমারে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়া সহ এ বিষয়ে সরকারের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. মামুনুর রশিদ ও কামাল হোসেন।
Leave a Reply